ছবি: সংগৃহীত
নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানো বাংলাদেশের আইনের সম্ভাব্য বড় অপব্যবহার। রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে দুদকের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র সচেতন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি। তার সক্ষমতার অধীনেই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কেও ওয়াশিংটন অবহিত। মন্তব্য করেছেন মার্কিন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি প্রশ্নে জানতে চান- মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ অঞ্চলে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা বৃহত্তর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ‘একতরফা’ নির্বাচনের পর প্রতিবেশী ভারতে তৈরি পণ্য বর্জনকে উৎসাহিত করছে জনগণ। তাদের সন্দেহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এ প্রচারণা সম্পর্কেও আমরা অবহিত। আমি অবশ্যই ভোক্তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করবো না। সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করি। অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করা, অভিন্ন স্বার্থে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করবো।
মুশফিক তার কাছে জানতে চান- প্রফেসর ড. ইউনূসের পক্ষে মন্তব্যের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুদক। আপনি যেমনটা জানেন, প্রফেসর ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। তাদের এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ভাবনা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, প্রশ্নের মন্তব্য সম্পর্কে আমরা অবহিত। এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।