ছবি: সংগৃহীত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের আস্তানায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। বলেন, সম্ভবত জাহাজটি এখন সোমালিয়া উপকূল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে আছে। আশা করছি আর ১ ঘণ্টা পর সেটি জলদস্যুদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।
উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন জিম্মি ২৩ নাবিকদের স্বজনরা। জিম্মির পর কয়েকটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছে নাবিকরা। তবে মুঠোফোন জব্দ করে নেয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জিম্মিদের বরাতে পরিবারের দাবি, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে।
জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম। জিম্মি নাবিক ও জাহাজ উদ্ধার করতে মালিপক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। জাহাজটির বিমাকারী যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরাসরি জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি মালিকপক্ষ বা বিমাকারী প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এ ধরনের ঘটনায় সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকসহ জাহাজ উদ্ধারে কিছুটা সময় লাগতে পারে। মালিকপক্ষকে চাপ দিয়ে দাবি আদায় করতে এ সময় নেয় দস্যুরা।
কবির গ্রুপের মালিকানাধীন ২৩ জাহাজের একটি এমভি আবদুল্লাহ। এর পণ্য পরিবহন ক্ষমতা ৫৮ হাজার টন। জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজটিতে ২০-২৫ দিনের খাবার রয়েছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।