Apan Desh | আপন দেশ

‘ভারতের নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ১৬ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৫:৩৬, ১৬ মার্চ ২০২৪

‘ভারতের নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়’

ফাইল ছবি

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি প্রতিবেশী দেশ, সেই হিসেবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও অবাধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত থাকতেই পারে। যেকোনো দেশের ভিন্নমতকে আমরা সম্মান করি। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় আমাদের এ অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল অংশগ্রহণ করেছে। কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করা, সেটি সরকারের উপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব। সেই দল বরং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে দেশে সহিংসতা ঘটিয়েছিল। এবং সেই সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরকেই শুধু গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমালিয়ায় জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করে আনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য নাবিকদের এবং জাহাজটাকে মুক্ত করা। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলভাবে যদি আচরণ করি তাহলে এ পরিস্থিতি উত্তরণ সহজ হবে। এটি নিয়ে সরকার কাজ করছে, অতীতেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় একই কোম্পানির জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভবপর হয়েছিল। এখনো আমরা আশা করছি আমাদের যে সমন্বিত প্রচেষ্টা আছে, সুস্থভাবে নাবিকদেরকে ও জাহাজটাকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।

রমজান কিংবা ঈদ উপলক্ষে কোনো পণ্যর মূল্য বাড়ার কোন কারণ নেই জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে না পারে সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এক কোটি মানুষকে ন্যায্যমূল্যে চালসহ অন্য সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। এরপরও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় অসাধু ব্যবসায়ীরা, এমনকি খুচরা বিক্রেতারাও একটি বাজারে একটি পণ্যের দাম এক রকম, আরেক বাজারে অন্য রকম করে ইচ্ছেমতো দাম নেয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে এ প্রবণতা আগে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, মানুষ এব্যাপারে আগের তুলনায় অনেক বেশি সোচ্চার হয়েছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়