ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তাদের উদ্ধার বিষয়ে ইতিবাচনক আলোচনা হয়েছে। জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
বুধবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।
মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। জলদস্যুদের কাছে জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের উদ্ধারের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই নাবিক-ক্রুদের উদ্ধারের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে আলোচনার শর্ত গোপনীয়তার স্বার্থে বাংলাদেশি মধ্যস্থ্যতাকারীর বিষয়ে তথ্য দেয়া হবে না।
এর আগে, জাহাজটি উদ্ধারের সবশেষ কোনো বার্তা কারও কাছেই ছিল না বলে জানানো হয়। সোমালিয়া পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দলের কমান্ডো অভিযান চালানোর কথা শোনা যায়। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ দাবি করেছিল, এ বিষয়ে কিছু জানে না তারা। আবার ১৬ মার্চ রাতের পর ওই জাহাজ থেকেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় তৈরি হয় উভয় সংকট।
এদিকে জলদস্যুদের কবলেপড়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিকের জিম্মি দশার আট দিন পার হয়েছে। জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, তাদের সাথে সবশেষ শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক নাবিকের কথা হয়েছে। ওই সময় তিনি জানিয়েছেন সবাই সুস্থ আছেন। এরপর আর কারও সাথে যোগাযোগ হয়নি বলেই জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি জানান, সমঝোতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। আবার সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দলের উদ্ধার অভিযান পরিচালনার যে বিষয়টি শোনা গিয়েছিল, সে সম্পর্কেও তারা কিছু জানে না বলে দাবি করা হয়। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়েন নাবিকদের পরিবার। তারা দ্রুত উদ্ধারের দাবি করেছেন।
সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপকূলে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপকূল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।