ছবি: সংগৃহীত
আগামী ২০ রোজার পর মাংস বিক্রি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। যাদের জন্য এতকিছু করেছেন তারা পাশে না থাকায় ক্ষোভে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
জাতীয় একটি দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খলিল বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এত কিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করবো না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করবো না।
খলিলুর রহমান গত ছয় মাসে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। কখনও দাম কমিয়ে আবার কখনও বাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। তাকে নিয়ে বিতর্কও অনেক।
প্রথম রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়ে তাক লাগান তিনি। কিন্তু পুরো রমজান মাসে এ দরে মাংস বিক্রির কথা থাকলেও ১০ রমজানে এসে বেঁকে বসেন। এক লাফে দাম বাড়িয়ে দেন ১০০ টাকা। লোকসানের অজুহাত তুলে ভারতীয় গরু আনতে ১০ দিনের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার দাবি তোলেন। গত দুই দিনে দোকানও বন্ধ রাখেন তিনি।
রোববার আবারও ঘোষণা দেন– ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরেই মাংস বিক্রি করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাংস বিক্রির সময় ও দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে খলিল বলেন, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করবো। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। এ সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়।
চলতি মাসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।