প্রতীকী ছবি
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার। অন্যান্য দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। তা সত্ত্বেও এদিন লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার ৬৩৬ মেগাওয়াট। চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোররাত ১টা থেকে এ লোডশেডিং শুরু হয়, যখন বিদ্যুতের চাহিদা বরাবরই খুব কম থাকে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শনিবার ভোররাত ১টা পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াট।
আরেকটি তথ্যে দেখা যায়, শনিবার দুপুর ১২টায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে ১২ হাজার ৬৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট এবং দিনের ব্যস্ত সময়ে ১৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দিন যত এগোবে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ তত বাড়বে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে লোডশেডিং এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি নীতি অনুসরণ করছে। বিধায় বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়েছে। জনরোষ এড়াতে এটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চলতি সপ্তাহে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৪০১ মেগাওয়াট। সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে ১৪ হাজার ২৪৫ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না বাড়ানো পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিপিডিবির কর্মকর্তারা।
তারা জানান, গ্যাস সঙ্কটের কারণে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল ৩ এপ্রিল নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনিং) এম কামরুজ্জামান বলেন, এখন আমরা আশা করছি এটি ৮ এপ্রিল চালু হতে পারে। পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সামিটের এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় চালু হলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে। চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে এলএনজি টার্মিনালটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।
পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ৪ হাজার এমএমসিএফডির বেশি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৬৪০ এমএমসিএফডি।
সূত্র: ইউএনবি
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।