ফাইল ছবি
রাজধানীর সদরঘাটে তিন লঞ্চের সংঘর্ষে হতাহত হওয়ার ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরীফ-৪ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট ও সময়সূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় লঞ্চ ফারহানের দুই চালক, ম্যানেজার ও এমভি তাসরীফের দুই চালকসহ মোট পাঁচ জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচ জনকে আটকের কথা নিশ্চিত করে নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার কাজী নুশরাত এদীব লুনা বলেন, এখনও মামলা করা হয়নি। মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। এরপর আটক ব্যক্তিদের গ্রেফতার দেখিয়ে নাম প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নমিনির কাছে দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি শিশু ও এক নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয় আরও পাঁচ জন। নিহত তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ লঞ্চ দুটি রশি দিয়ে সদরঘাটের পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকে পড়ে। এ সময় ওই লঞ্চের ধাক্কা খেয়ে পন্টুনে বেঁধে রাখা এমভি তাসরিফ-৪-এর দড়ি ছিঁড়ে গেলে যাত্রীরা নিচে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।