ফাইল ছবি
বাবা-মা ও নানীর পর মারা গেল রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া শিশু লামিয়াও (৭)। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে লামিয়ার বড় বোন লিজা (১৮) ৩০ শতাংশ দগ্ধ ও ভাই সুজন (৮)। তাদের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লামিয়ার বাবা লিটন। এর আগেরদিন সোমবার সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা যান লিটনের স্ত্রী সূর্য বানু। আর শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মারা যান সূর্য বানুর মা মেহেরুন্নেছার (৬৫)।
আরও পড়ুন <> জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন- মো. লিটন (৪৮), তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাদের ৩ সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৮) ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৮০)।
প্রতিবেশীরা জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দুই তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেতেন লিটন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয় জনই দগ্ধ হন।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।