ছবি: সংগৃহীত
কোনো বাসাবাড়ি কিংবা কার্যালয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মামলা হবে। জরিমানা হবে। যেতে হবে কারাগারে। আগামী ২৭ এপ্রিলের পর থেকে এ ‘অ্যাকশনে’ যাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রূপনগর আবাসিক এলাকায় ডিএনসিসি’র মাসব্যাপী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এডিসের প্রজনন রোধে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও অফিস পরিষ্কার রাখবেন। জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়। ২৭ এপ্রিলের পর থেকে কোনো বাড়িতে-অফিসে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাড়ি সুন্দর করার জন্য রং করা হয়। কিন্তু রং করা শেষে খালি বোতল ফেলে রাখা হয় ছাদে। বাসা কিংবা অফিসের কমোড পরিবর্তন করে ফেলে রাখা হয়। চায়ের কাপ কিংবা চিপসের প্যাকেট যেখানে–সেখানে ফেলে দেয়া হয়। এগুলোয় বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়। এসব জিনিস আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে নগদ টাকা বুঝে নিতে পারবেন।’
মেয়র আরও বলেন, ‘যেখানে–সেখানে এগুলো ফেলে রাখলে এডিস মশার জন্ম হয়ে আমাদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসবে। কারণ, মশা কিন্তু কাউকে চিনবে না। মশা শুধু রক্ত চেনে। কে নেতা, কে এমপি আর কে কোন লীগ করে, কিছুই চিনবে না।’
সচেতনতা কর্মসূচির মতবিনিময় সভায় ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদ, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।