ছবি: সংগৃহীত
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ যানবাহনের অতিরিক্ত গতি। দুর্ঘটনা কমাতে মোটরযানের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশনা না মানলে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
বুধবার (৮ মে) বিআরটিএ সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী জাতীয় মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের জন্য ৮০, ট্রাক-মিনিট্রাক, কার্ভাড ভ্যান ও মোটরসাইকেলের জন্য গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ কিলোমিটার।
জেলা সড়কে বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের জন্য ৬০, ট্রাক-মিনিট্রাক, কার্ভাড ভ্যানের জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। সিটিতে ভারী যানবাহনের জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সচিব আরও বলেন, গতিসীমা নিয়ে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। এখন ভ্রমমাণ আদালতের মাধ্যমে যারা গতিসীমা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, সড়কে কম গতির গাড়ি। এজন্য থ্রি-হুইলার নীতিমালা করা হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
তিনি জানান, মানুষকে সচেতন হতে হবে। এখন থেকে নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাড়বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।