Apan Desh | আপন দেশ

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ৯ মে ২০২৪

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত

ছবি: সংগৃহীত

চীনের তিস্তা বহুমুখী প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহ আছে ভারতের। তিস্তা নদীতে নেয়া বৃহৎ এ প্রকল্পে অর্থায়নেও আগ্রহী নয়াদিল্লি। এছাড়া খুব শীঘ্রই বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করা হবে। জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, সীমান্ত হত্যা এবং ভিসা ইস্যুতে দুপক্ষের মধ্যে আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। এ সময় তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করে ভারত।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনেক আগে থেকে ভারত সফরের কথা রয়েছে। ভারতে যেহেতু নির্বাচন, সেটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে, সেটি নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতে নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর সফর কখন হবে, সেটি ঠিক হবে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনের আগে হঠাৎ আলোচনায় তিস্তা প্রকল্প

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে, সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়।’

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের ১৬-১৭ লাখ মানুষের জন্য ভিসা ইস্যু করে ভারত। বিশ্বে সর্বোচ্চ ভিসা ভারত ইস্যু করে বাংলাদেশে। অনেক সময় ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হয়। সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন- বাংলাদেশে ভারতীয় মিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা আরও লোকবল নিয়োগ করছেন।

শক্তির উৎসের কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমরা ফিজিক্যাল কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটি অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। ট্যারিফ নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে। সেটি আমাদের ক্রয় কমিটিতে যাবে। সেটি হলে ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব। ‍

আরও পড়ুন>> দুই বাংলাদেশি হত্যা: ‘আত্মরক্ষার্থে গুলি’, বলছে বিএসএফ

বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নন-লেথাল (প্রাণঘাতী নয়) এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন- তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দুই দেশের সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়