ছবি: সংগৃহীত
কুকি চিনের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার মোট সদস্য ছিল ৫৩ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিরা এখনো পলাতক। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা বম সম্প্রদায়ের কাছে প্রশিক্ষণও নিত। ঢাকা থেকে টাকাও পাঠাত। তাদের সদস্য ছিল ৫৩ জন। এর মধ্যে ৪৯ জনই ধরা পড়েছে। এরা আসলে একটু বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। তারা এখন নতুন করে কর্মী সংগ্রহ করছে। নতুন কর্মীরা বিভিন্ন ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে চাকরি করে এবং টাকাও পাঠায়। আমরা তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তাদের সঙ্গে আরও কেউ আছে কিনা জানার চেষ্টা করবো। এছাড়া তারা নতুন করে কাকে কাকে নিয়োগ করেছে সেটাও জানাবো।
আরও পড়ুন>> কেএনএফ সংশ্লিষ্টতায় আটক ৪৯
তিনি বলেন, আমরা যাদের ধরেছি তাদের মধ্যে দুজন (মশিউর রহমান ও আমির হোসাইন) এখন হিন্দাল আল শারক্বীয়াকে লিড করছে। কর্মী সংগ্রহ তারাই করছিল। হাবিবুর রহমানকে তারা নতুনভাবে নিয়োগও দিয়েছে। আপনারা যেসব প্রশ্ন করেছেন সেগুলোর প্রত্যেকটির উত্তর আমরা তাদের কাছে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে নেব। তারা নতুন করে কাকে কাকে রিক্রুট করেছে এবং কে লিড করছে তাও আমরা জিজ্ঞাসা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হজি), আনসার আল ইসলাম ও জামাযাতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) মুক্তিপ্রাপ্ত এবং পলাতক বেশ কিছু সদস্য মিলে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ গঠন করেছে। কুকি চিনদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তারা তাদের সদস্যদের অস্ত্রসহ যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেয়। কুকি চিনের সদস্যদের কাছে পাহাড়ি বৈরি পরিবেশে কমান্ডো হিসেবে টিকে থাকা, পিটি-প্যারেড শিখা, আন আর্মড কমবাট, অ্যাসল্ট রাইফেল চালানো, বোমা সামগ্রী তৈরি এবং ব্যবহারসহ সিকিউবি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।