আড়াই লাখ টাকা জরিমানা দিলেন তনি!

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মুখ রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। অনেকটা ঠোঁটকাটা হিসেবেই পরিচিতি। নেটিজেনরা কটু কথা বললেই সোজাসাপ্টা জবাব দেন। অনুসারিও আছেন বেশ কিছু। উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচিতি বেশ। ঢাকায় কয়েকটি কাপড়ের শোরুম রয়েছে। অনলাইনেও পণ্য বিক্রি করেন। এবার সেই তনিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

প্রতারণার অভিযোগে তনির ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুম সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) তনি ভোক্তা অধিদফতরে হাজির হলেও অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সেই কারণে দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণায় তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতর নিজস্ব অফিসে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠান করেন। তনি সে সময় বলেন, তিনি অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তনির ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানান। কিন্তু তনির মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না। পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদফতরের একটি নোটিস আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। এরপরে ভোক্তা অধিকার এসে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

আরও পড়ুন>> প্রতারণার অভিযোগে তনির শোরুম সিলগালা

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এছাড়া ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্তক থাকবেন। প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করছিল। কিন্তু ডেলিভারি দেয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।

তিনি আরও বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।

আপন দেশ/এসএমএ