Apan Desh | আপন দেশ

ডোনাল্ড লু-ড. হাছানের মধ্যে যেসব আলোচনা হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১৫ মে ২০২৪

আপডেট: ২২:২৭, ১৫ মে ২০২৪

ডোনাল্ড লু-ড. হাছানের মধ্যে যেসব আলোচনা হলো

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর, বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে ইতিবাচক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আমাদের আলোচনা সে লক্ষ্যেই হয়েছে।

তিনি বলেন, তার সঙ্গে নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমার সঙ্গে শুধু ইতিবাচক ইস্যু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু-কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে যেন যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরই মধ্যে করেছে।

মন্ত্রী বলেন, ডোনাল্ড লু বলেছেন আমাদের ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য। যে জিএসপি সুবিধা আমরা আগে পেতাম এখন পাই না, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে চায়। রিইন্ট্রিডিউস করলে তারা জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশকে আবার দিতে চায়। তবে সেটি এখনো রিইন্ট্রিডিউস হয়নি। সেজন্য আমাদের লেবার পলিসিটা একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। সেটি নিয়ে গতকাল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক আরও বেশি রফতানি হবে এবং ছাত্ররা ওই দেশে বেশি যাবার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের ৫৩ বছরের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছে। আমাদের রিজার্ভ শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়।

২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং আমরা এখন যে সুবিধা পাই, সেটি আর থাকবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশের যাত্রা যেন মসৃণ হয়, সেটির জন্যও সহায়তা চেয়েছি বলে জানান হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায়, আমরাও চাই। লু সম্পর্ক এগিয়ে নিতেই এ সফরে এসেছেন।

বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং কর ফাঁকি বন্ধে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ২৫ লাখ লোক কর দেয়, এখানে কয়েক কোটি লোকের কর দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু কর দেয় না। কর ব্যবস্থাকে আধুনিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে চায়। একইসঙ্গে কর ফাঁকি যে দেয়া হয়, সেটি বন্ধের জন্য সহায়তা করতে চায় তারা।

নির্বাচন বা মানবাধিকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষ আলোচনা করেছি, আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই।… তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায়। আমরাও চাই।

খুনি রাশেদ চৌধুরিকে ফেরতের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটি তাদের বিচার বিভাগের অধীনে এবং সেখানে হোয়াইট হাউজ বা স্টেট ডিপার্টমেন্টের এখতিয়ার নেই। তবে তারা তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়তা করবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়