Apan Desh | আপন দেশ

‘শীতলক্ষ্যার তীর ৩০ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দখলে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ১৬ মে ২০২৪

‘শীতলক্ষ্যার তীর ৩০ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দখলে’

ছবি: সংগৃহীত

‘৩০টি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড় দখল করে রেখেছে। সরকার যদি রাস্তার জমি উদ্ধার করতে পারে, তাহলে নদী উদ্ধারে কেন উদ্যোগ নেয়া হয় না? মিডিয়াগুলো যারা দখল করে আছে, তাদের অনেকেই নদী দখল করে রেখেছে। সরকারি দলের অনেক এমপি ব্যবসায়ীরা এর সঙ্গে জড়িত। বলেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবর রহমান হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। 

ড. মজিবর বলেন, আমাদের জন্মই হয়েছে ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’ স্লোগান দিয়ে। নদীকে কেন্দ্র করেই আমাদের বেড়ে ওঠা। নদী একটা জীবন্ত সত্তা। তাকে হত্যা করার অধিকার কারও নেই। এখনই অ্যাকশন নিতে হবে।

সভায় রাজধানীর চারপাশের তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, বালু নদীসহ বিভিন্ন নদীর দূষণের চিত্র তুলে ধরেন স্থানীয়রা। নদী দূষণ প্রতিরোধ এবং বেদখলের লক্ষ্যে মতামত তুলে ধরেন বিশিষ্টজনেরা। এ সময় বলা হয়, নদী দূষণের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘটছে কলকারখানা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন>> তিস্তার গতিপথ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দফতর সম্পাদক মোস্তফা আলমগীর রতন বলেন, ‘গণমাধ্যম কোনো বিষয় নিয়ে উদ্যোগ নিলে রাষ্ট্রেরও তা বাধাগ্রস্ত করার ক্ষমতা নেই। তাই গণমাধ্যমের কর্মী ও মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।’ 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নদীর নিয়ে আরও গবেষণার উদ্যোগ নিতে হবে। গবেষণা না থাকলে সাংবাদিকেরা তথ্য কোথায় পাবেন? নদী দূষণ শুধু ক্ষমাহীন অবহেলা নয়, ক্ষেত্রবিশেষে সংশোধন অযোগ্য অবহেলা।’ 

ডেইলি স্টারের প্রধান প্রতিবেদক পিনাকী রায় বলেন, মিডিয়া পরিবেশ ও নদী রক্ষায় তার কাজ করছে, কিন্তু যথাযথ ফলাফল আসছে না। কারণ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের কাজগুলো করছে না। নদীর জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশ নদীর পাড়, ল্যান্ডিং স্টেশনসহ অন্যান্য স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদীর পানি দূষণ বা দখল নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। 

সাবেক এমপি অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, সুন্দরবন আমাদের বড় বড় ঝড় থেকে রক্ষা করেছে। কিন্তু এখন অনেকে দখলের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে আগুন লাগাচ্ছে। নদীগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। বিষের কারণে সেই এলাকায় অনেক বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে। 

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়