Apan Desh | আপন দেশ

উপজেলা নির্বাচন

চার ঘণ্টায় কত শতাংশ ভোট পড়ল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৫৭, ২১ মে ২০২৪

আপডেট: ১৩:৫৭, ২১ মে ২০২৪

চার ঘণ্টায় কত শতাংশ ভোট পড়ল?

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। ইতোমধ্যে কয়েক ঘণ্টা পরিয়ে গেছে। ভোট শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আসা তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, ভোটের হার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৭ শতাংশ পড়েছে। এছাড়াও ভোটে বড় কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

বেলা ১১টার দিকে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছিলেন, ভোটের মাঠে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য শারীরিক অসুস্থতায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।

আরও বলেছিলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে এ হার আরও বাড়বে।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এসব উপজেলার মধ্যে ২৪টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এ ধাপেও প্রচার ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত, হুমকি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের দিনও সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয় এমপি ও প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করে কতটুকু সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে—সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো প্রার্থী।

অন্যদিকে অনেকটা একতরফা এ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের কতটা ভোটকেন্দ্রে আনা যাবে, তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ ও সংশয়ে রয়েছেন।

তবে সুষ্ঠু ভোটের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে, সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আর প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ ধাপে ১০টি অঞ্চলের ১০৬ পৌরসভার, ১ হাজার ৪৯৪ ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি। আর ভোটকক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯টি। দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৭৪৮ জন।

নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৮৯ হাজার ৮৬৩ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৭৬৮ জন। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়