Apan Desh | আপন দেশ

এমপি আনারের ‘দেহাংশ’ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৮ মে ২০২৪

আপডেট: ২১:০৪, ২৮ মে ২০২৪

এমপি আনারের ‘দেহাংশ’ উদ্ধার

ফাইল ছবি

সেপটিক ট্যাংক থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহের ‘খণ্ডিত অংশ’ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে এ দেহাংশ অংশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হলেও সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কিনা, তা ডিএনএ পরীক্ষার পর পুরোপুরি জানা যাবে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সিআইডি জানায়, মাংসের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পর পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জানা গেছে, এমপি আনারকে হত্যা করে তার মরদেহের মাংস টুকরো টুকরো করে কমোডে ফেলে দিয়েছিল ঘাতক কসাই জিহাদ হাওলাদার। এর পরিমাণ হবে প্রায় ৪ কেজি।

আরও পড়ুন>> ‘আনারকে টুকরো টুকরো করে মেশানো হয় মসলা’

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া মাংস নিহত এমপি আনারের মরদেহের কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সেপটিক ট্যাংক ভাঙার পর মানুষের একগুচ্ছ চুল, কিছু গুঁড়ো হাড় ও মাংসের খণ্ড পাওয়া যায়। সিআইডি কর্মকর্তাদের খবরে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির গবেষকরা এসে খন্ডাংশগুলো নিয়ে যান। ডিএনএ টেস্ট না হওয়া পর্যন্ত, খণ্ডাংশগুলো এমপি আনারের মরদেহের কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না।

এর আগে, কলকাতা সিআইডিকে এমপি আনারের দেহাংশের খোঁজে হত্যার ঘটনাস্থল সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙে সার্চ করার অনুরোধ করে ঢাকার ডিবির টিম। পাশাপাশি হাতিশালা লেকও সার্চের অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন>> এমপি আনারের খণ্ডিত মরদেহ নিয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান

গত ১২ মে ঢাকা থেকে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে খুন হন তিনি। হত্যার পর আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরা করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। মরদেহ টুকরো করা গ্রেফতাকৃত ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন।

গত ২২ মে আনার হত্যা মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর গত বৃহস্পতিবার সিআইডি এ খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি ‘কসাই’ জিহাদকে গ্রেফতার করে। 

কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ ৮০টি টুকরো করেন কসাই জিহাদ। এরপর সেই অংশগুলো ফেলা হয় কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলাখালির বিভিন্ন স্থানে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়