ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ঈদুল আজহায় সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৩০০ যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) ২১৭টি, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ১১৮টি, অতি যানজটপ্রবণ বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ৫৭টি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পথে সবচেয়ে বেশি পশুর হাট বসে। এ রুটটি অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে পড়েছে। তবে সবচেয়ে নিরাপদ মহাসড়ক ঢাকা-মাওয়া। পদ্মা সেতুগামী এ মহাসড়কের কোথাও যানজট না হওয়ার কথা বলছে পুলিশ।
যানজটনপ্রবণ স্থানে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ায় মহাসড়কের পাশে পশুর হাট কিংবা ভাঙাচোরার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে সিলেটসহ দেশের পূর্বাঞ্চলে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বন্যা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ জেলার জনপদ। এসব বিষয় মাথায় রেখে ১০ জুনের মধ্যে সব রাস্তা মেরামতসহ চলাচলের উপযোগী করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
হাইওয়ে পুলিশের হিসাবে যানজটপ্রবণ স্পট ১১৮টি। ঈদ সামনে রেখে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি অতি যানজটপ্রবণ বা ঝুঁকিপূর্ণ। যানজটপ্রবণ ৬১টি।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অতি যানজটপ্রবণ স্পটের সংখ্যা ১৪টি ও যানজটপ্রবণ স্পট ২৫টি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অতি যানজটপ্রবণ তিনটি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৪টি অতি যানজটপ্রবণ ও ১২টি যানজটপ্রবণ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তিনটি অতি যানজটপ্রবণ ও দুটি কম যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ১৩টি অতি যানজটপ্রবণ ও ২২টি যানজটপ্রবণ এলাকা রয়েছে। তবে ঢাকা-মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু রুটে কোনো যানজটপ্রবণ এলাকা নেই।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ রুটে পশুর হাট থেকে শুরু করে যানজটপ্রবণ স্পট পাওয়া যায়নি। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে ঈদ উৎসবে এ মহাসড়কে কোনো দুর্ভোগ হয়নি। ফলে ঈদযাত্রায় সবচেয়ে নিরাপদ মহাসড়ক হিসেবে ঢাকা-মাওয়া পথ চিহ্নিত করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি বলেন, ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্পট নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার বেশ কয়েকটি বিষয়ে কঠোর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধ করা। কোনো যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ওয়াচ টাওয়ার, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাব-কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। যেসব যানবাহন বিকল হবে, তাৎক্ষণিক সারানোর উদ্যোগ থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশের সভায় জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪২৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের থাকবে বডি ওর্ন ক্যামেরা। ঈদযাত্রায় ড্রোন দিয়ে যানজট, জটলা, বিকল গাড়ি খোঁজা হবে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।