ছবি: সংগৃহীত
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ চক্র, বিএনপি-জামায়াত ক্রমাগত গুজব ছড়াচ্ছে। বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিকৃত খবর প্রচার করছে। নিরাপদ সাইবার স্পেস ও সাইবার অপরাধ দমনে আলাদা ‘সাইবার পুলিশ ইউনিট’ গঠনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদুন্নাহার লাইলীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ চক্র, বিশেষভাবে সাম্প্রদায়িক চক্র, যুদ্ধাপরাধী চক্র ও বিএনপি–জামায়াত ক্রমাগত গুজব ছড়াচ্ছে। এদের একটি বড় অংশ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। তারা মূলত ফেসবুক, এক্স, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিকৃত খবর প্রচার করছে।
আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থরা ফেরত পাবেন টাকা
গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, স্যোশাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী প্রোপাগান্ডা, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও গুজব প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক সাইবার প্যাট্রলিং জোরদার করা হয়েছে; গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে। গুজব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এবং সাইবার সাপোর্ট হেল্প লাইনের মাধ্যমে গুজব সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বিদেশে অবস্থানরত গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> ‘আ.লীগ গাছ লাগায় আর বিএনপি তা ধ্বংস করে’
ফেনী–১ আসনের সরকার দলীয় এমপি আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী লিখিত প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না করা হলে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পায়। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে, প্রকল্প অনুমোদনের পর বাস্তবায়নকালে প্রায় সব প্রকল্পই এক বা একাধিকবার ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই মেয়াদ বৃদ্ধি বা ব্যয় বৃদ্ধিসহ সংশোধন হয়ে থাকে। এতে এডিপি বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়।
সরকার দলীয় এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২৭৫ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। আর ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ চলমান।
মালয়েশিয়ায় ৩০ হাজার কর্মী যেতে না পারা নিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর করা প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে কর্মী যান, এটা স্বাভাবিক। সরকার আইন, সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার পরও কেউ কেউ দালাল ধরে যান। কিন্তু এবার মালয়েশিয়া পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন এত মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ল, সেটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।