ছবি: সংগৃহীত
স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলার ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ রোববার (৯ জুন)। সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা নাগাদ। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৮ জুন) দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। আজ ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হয়। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
উপজেলাগুলো হলো, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা। আগের ধাপগুলোর মতো এবারের নির্বাচনেও কারচুপি ও সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন শুরু হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ৮৭টি এবং ৫ জুন চতুর্থ এবং সর্বশেষ ধাপে ৬০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে স্থগিত হওয়া দুর্গত এলাকার ২০ উপজেলায় আজ ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য গতকাল শেষ মুহূর্তে বাঘাইছড়ির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ফলে ১৯ উপজেলায় ভোটের মধ্য দিয়ে এ ভোটের সমাপ্তি হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগের চারটি ধাপের ধারবাহিকতায় এবারের নির্বাচনেও বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার ভিডিপি গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদারসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, চৌকিদার, দফাদারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।