ছবি: সংগৃহীত
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
সূত্রের দাবি, আনার হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে মিন্টুর যোগাযোগ ছিল।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু বলেন, ওই নেতার আটক হওয়ার গুঞ্জন শুনছি। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে যেই জড়িত থাকুক না কেন আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন>> সিয়ামকে নিয়ে অভিযানে মিললো একাধিক হাড়
এদিকে আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহের অনেক রাজনৈতিক নেতার পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেকেই গ্রেফতার হতে পারেন। সেই সঙ্গে এমপি আনারের মরদেহ শনাক্ত হলে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এ এমপির। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।