ছবি: সংগৃহীত
দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। তবে ভোগান্তি যেন পিছুই ছাড়ছে না। ভ্যাপসা গরমে চরম বিপাকে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়া ১৫টি ট্রেনের সবকটি বিলম্বে ছেড়েছে।
বুধবার (১২ জুন) সকালে থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়। কিন্তু সিলেটের পারাবাত এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জের এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়তে দেরি করায় প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা সকাল সাড়ে ৬টায়, সেই ট্রেন ছেড়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এদিন বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ১ নম্বর প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছে। সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনেই পৌঁছায়নি। তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও পৌঁছায়নি প্লাটফর্মে।
গরমের মধ্যে প্ল্যাটফর্ম ভর্তি মানুষ অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ভোগান্তির কথা জানা গেছে। অন্যদিকে ট্রেনের রেকগুলোতে কোচ সংযোজন ভুল হওয়ায় বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, আমার গন্তব্য কুড়িগ্রাম, সাড়ে ৮টায় এসেছি। ট্রেন ছাড়ার কথা ৯টা ১০ মিনিটে, এখন পৌনে ১০টা বাজে, কিন্তু ট্রেন ছাড়েনি। ট্রেনের এ রকম লেট আর নতুন কিছু না। রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় টাইম মতো যেতে পারলেও ঢাকায় ফেরার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন ছাড়ে।
আরও পড়ুন>> বিশ্বের প্রথম ‘মিস এআই’ সুন্দরী প্রতিযোগিতা
এ ট্রেনে নওগাঁর সান্তাহারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সাথী আক্তার। ট্রেন ধরতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে কমলাপুরে এসেছেন তিনি। সাথী বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে আমি আগেই চলে যাই, ফাঁকা পাওয়া যায়। এবার একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। সকালে এসএমএসে জানলাম রংপুর এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা লেটে আসতেছে। আমাকে স্টেশনে দিয়ে আমার স্বামী অফিসে যাবেন, এজন্য আগেই আসতে হয়েছে। বাচ্চাকে নিয়ে এ গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঢাকায় আসার পর ট্রেনগুলো আবার ছেড়ে যায়। এখন ওইদিক থেকে যদি কোনো ট্রেন দেরিতে আসে তাহলে ট্রেনগুলো এখান থেকেও দেরিতে ছেড়ে যায়। কারণ ট্রেনগুলো ঢাকায় আসার পরে ক্লিনিং ওয়াটারিং করা হয়। এজন্য প্রত্যেকটা ট্রেনে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু। ট্রেনে বাড়তি কোচ যুক্ত হচ্ছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেনগুলো ১০-২০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে পারে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।