Apan Desh | আপন দেশ

রাজধানীর হাটে পশুর সরবরাহ বেশি, দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১৩ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৬:১০, ১৩ জুন ২০২৪

রাজধানীর হাটে পশুর সরবরাহ বেশি, দামও চড়া

ছবি: সংগৃহীত

তিনদিন পর দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। রাজধানীতে জমে উঠছে পশুর হাট। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুটি স্থায়ীসহ ২০ হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে কোরবানির পশুতে পরিপূর্ণ দেখা গেছে হাটগুলো। ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারাও। প্রায় প্রতিটি হাটেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু দাম বাড়ার কারণে হাটগুলোতে এখনও সেভাবে কেনাবেচা জমে ওঠেনি।

খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বছর ধরে গো-খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে। কোরবানি ঈদ ঘিরে এ দাম আরও বেড়েছে। ফলে সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম আগের বছরের তুলনায় দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি। প্রত্যাশিত দাম পাওয়া যেমন দুশ্চিন্তায় আছেন তারা, তেমনি প্রভাব পড়ছে এবারের কোরবানির হাটে।

লাগামহীন দামের কারণে পশু কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা বলছেন, হাটে ওজন দরে গরুর দাম হাঁকছেন খামারি, ব্যবসায়ী ও অ্যাগ্রো ফার্মগুলো। তাই এখন সরবরাহ বেশি থাকলেও দাম বেশি। অথচ আগে দেখা যেত সরবরাহ সংকট থাকলে পশুর দাম বাড়ত। এবার সরবরাহ বেশি। কিন্তু এরপরও আকাশচুম্বী দাম। পশু লালনপালনে গোখাদ্য, ওষুধ ও আনুষঙ্গিক খরচে কথা বলে দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসেনি।

হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের অজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায়, তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

প্রত্যেকটি হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত গাইডলাইনের বাইরে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রত্যেকটি হাটে একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। 

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নগদ অর্থের লেনদেন ছাড়া ইনস্ট্যান্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতারা অর্থের লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়