ফাইল ছবি
মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার দিন আজ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন। কোরবানি চলবে আগামী দুদিন।
ঈদের দিন সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছ। ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন তারা। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউ কোরবানি দিচ্ছেন বাসা বাড়ির গ্যারেজে। কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।
গোস্ত তিনভাগ করে একভাগ স্বজনদের, একভাগ নিজের জন্য রাখা হচ্ছে। আর আরেকভাগ দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। পুরনো রেওয়াজ অনুয়ায়ি গ্রামের মতো রাজধানীর বাসিন্দারাও স্বজনদের বাসায় গোস্ত পাঠাচ্ছেন।
এদিকে কোরবানির পর সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ রাস্তায় কাজ করা শুরু করে দিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানীর থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানি শুরু হয়ে সারাদিনই তা চলবে। আজ যারা কোরবানি করতে পারবেন না, তারা আগামী দুই দিনও কোরবানি করার সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে পুরানো ঢাকায় ঈদের পরের দুই দিনও পশু কোরবানির রেওয়াজ চালু রয়েছে।
সকালে রাজধানীর খিলগাঁও, বংশাল, রায়েরবাগ, চানখারপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানি করতে দেখা গেছে। এবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা হয়নি। কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী শেড তৈরি করেছেন। এরপরও পশু জবাই দেয়া হয়েছে রাস্তায়। এতে ওই রাস্তাগুলোতে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া কোরবানি পশুর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে না ফেলে ড্রেনে ফেলতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নূর আলী বলেন, এবারও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান করে দেয়া হয়নি। ফলে অনেকেই রাস্তায় পশু কোরবানি দিচ্ছেন। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় পশু জবাই দেয়ার জন্য গত কয়েক দিন ধরে মাইকিং করেছে। এছাড়া মসজিদের মাইকে একই কথা বলা হয়েছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।