ছবি: সংগৃহীত
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা এরইমধ্যে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। ট্রেন, বাস ও লঞ্চে করে ঢাকায় আসছেন তারা। এ ছাড়া আজ (২০ জুন), আগামীকাল ও শনিবারও রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের ছুটি শেষে গতকাল থেকেই অফিস-আদালত ও ব্যাংক খুলেছে। এবার ঈদে ৩ দিন সরকারি ছুটি দেয় সরকার। এরসঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে মোট ৫ দিনের ছুটি পান সরকারি চাকরিজীবীরা। এ ছুটি কাটিয়েই গতকাল থেকে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন তারা।
গতকাল ট্রেন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকা ফেরত মানুষের ভিড় ছিল। তবে এরমধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন চাকরিজীবী।
ঈদের পর অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই পরিবারকে গ্রামে রেখে এসেছেন। তারা ফিরতি মানুষের ভিড় কমলে ঢাকায় ফিরবেন। গত মঙ্গলবার থেকেই ফিরতি ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকালও ট্রেনে ঢাকা ফিরেছেন অসংখ্য মানুষ। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মানুষের ভিড় ছিল। ঢাকায় ফেরা সবগুলো ট্রেনই যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল।
ট্রেনের ফিরতি টিকিটও অনলাইনে বিক্রি হওয়া ও শিডিউল বিপর্যয় না হওয়ায় এদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি যাত্রীদের। তারা জানান, অন্যবারের মতো এবার শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় নির্ধারিত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন তারা।
যাত্রীদের একজন জানান, ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে। এখন সরাসরি অফিসে যেতে হবে। আসার সময় পথে কোনো সমস্যা হয়নি। দিনাজপুর থেকে আসা অপর এক যাত্রী বলেন, ট্রেন সময়মতো ছেড়েছে। পরিবারকে গ্রামে রেখে এসেছি। তারা কিছুদিন পর আসবে। আজ (১৯ জুন)) অফিস খোলার কারণে আমি চলে এসেছি।
ট্রেনের মতো বাসেও ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। গাবতলী, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড় ছিল। একের পর এক বাস এসে এসব জায়গায় যাত্রী নিয়ে থামছে। বাস থেকে নেমে যাত্রীরা রিকশা, সিএনজি কিংবা লোকাল বাসে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার সেখান থেকে সরাসরি কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন।
ঢাকায় ফেরা একজন যাত্রী বলেন, গত শুক্রবার গ্রামে গিয়েছিলাম। আজ চলে এসেছি। যাত্রাপথে কোনো সমস্যা হয়নি। অফিস খুলে ফেলেছে। একটু দেরি হলেও অফিস ধরতে হবে। পরিবার নিয়ে ঈদের দিন ভালো কেটেছে। বাসের সুপারভাইজাররা জানান, ঢাকায় মানুষ ফিরলেও এখনো তেমন চাপ শুরু হয়নি। শুক্র ও শনিবার চাপ বাড়তে পারে।
সড়ক পথের ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই লঞ্চে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তাই বাস-ট্রেনের পাশাপাশি লঞ্চে করেও ঢাকা ফিরছে মানুষ। তবে গতকাল সদরঘাট লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের চাপ কম ছিল। বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
গতকাল ভোর থেকেই লঞ্চ ভিড়তে শুরু করে সদরঘাটে। এদিকে ঢাকায় ফেরার পাশাপাশি অনেকেই আবার ঈদের পরেও বাড়ি যাচ্ছেন। গত দু’দিন অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। ঈদের নানা কাজে আটকে থাকা মানুষগুলো ঈদের পর বাড়ি যাচ্ছেন। তাই বাসগুলো এসব যাত্রীদের নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে।
গতকাল অফিস খুললেও ফাঁকা ছিল ঢাকার সড়ক। কেউ কেউ ঈদের সরকারি ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছেন। এতে অনেকেই এখনো ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফেরেননি। তাই সড়কের সেই চিরচেনা যানজট দেখা যায়নি। অফিসগুলোতেও শতভাগ উপস্থিতি হয়নি। রাজধানীর সড়কগুলোতেও যানচলাচল ছিল কম। বিশেষ করে বাসের সংখ্যা ছিল সীমিত।
এ ছাড়া সড়কে সিএনজি, রিকশা বা ব্যক্তিগত যানবাহনও কম ছিল। অবশ্য বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন এলাকায় কিছুটা বেশি দেখা যায় এসব পরিবহন।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।