প্রতীকী ছবি
সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এর কল জানায় জনৈক ব্যক্তি। বর্ণনা এবং ঠিকানা পেয়ে সেখানে যায় যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। দেখে, ষাটোর্ধ শফিকুর রহমানের দেহ পড়ে আছে নীচতলার গ্যারেজে। বাড়ির দোতলায় শোবার ঘরে মশারির ভেতর তারই স্ত্রী ফরিদার (৫০) নিথর মরদেহ। মাথা ও শরীরে ক্ষত। ধারালো অস্ত্রে আঘাতের দাগ।
এ দম্পতি বসবাস করছিলেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায়। সাধারণভাবে ডাকাতির কথা বলা হচ্ছে। তবে পুলিশের ধারণা ডাকাতি নয় বরং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শফিকুর রহমান জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক ছিলেন। তাদের ছেলে ইমন পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই)।
ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাহিদ ফেরদৌস বলেন, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোমেনবাগে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাতি নাকি হত্যা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে আমাদের মনে হচ্ছে। আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত এখানই বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শফিকুর-ফরিদা দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। তারা দোতলায় থাকতেন। নিচতলার এক পাশ এবং তিন ও চারতলা ভাড়া দেয়া। এ দম্পতির একমাত্র ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) উপপরিদর্শক (এসআই) ইমন। তার স্ত্রী একই বাসায় মা–বাবার সঙ্গে থাকেন। বুধবার রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী এবং তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান।
এরই মধ্যে ঘটেছে নির্মম ঘটনা।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।