ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক প্রায় ১২ লাখ। তবে তাদের বছরে আয়ের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত ১০ মাসে আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এমপি আবদুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয়ের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। ১০ মাসে আয় থেকে ১৩০.৫৮ মিলিয়ন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। এ সময়কাল ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত।’
তিনি জানান, ভারতী ৫০.৬০ মিলিয়ন, চীন ১৪.৫৬, শ্রীলঙ্কা ১২.৭১, জাপান ৬.৮৯, কোরিয়া ৬.২১, থাইল্যান্ড ৫.৩০, যুক্তরাজ্য ৩.৫৯, পাকিস্তান ৩.২৪, যুক্তরাষ্ট্র ৩.১৭, মালয়েশিয়ার নাগরিকরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন>> ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের দাবি এ. কে. আজাদের
এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি। এ সংকট কাটিয়ে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নারী আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। বিদ্যমান আইনে খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আপন দেশ/এইউ/এসএমএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।