Apan Desh | আপন দেশ

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

পুলিশ সংগঠনের বিবৃতি: যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ২৫ জুন ২০২৪

পুলিশ সংগঠনের বিবৃতি: যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবার এ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (২৪ জুন) পুলিশ সংগঠনের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। জবাবে তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখানোর যেকোন প্রচেষ্টায় আপত্তি জানান।

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের পুলিশ সংগঠন পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করা গণমাধ্যমগুলোকে উদ্দেশ্য করে একটি হুমকিমূলক বিবৃতি দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় এটি খুবই নগণ্য, যা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম প্রায়ই উপেক্ষা করে। একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে, তারা পরিচিত দুর্নীতির গল্পও প্রকাশ করতে পারেন না। আপনারা জানেন, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এসব হুমকি মোকাবেলা ও দুর্নীতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

আরও পড়ুন>> পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের মন্তব্য অশোভন, দায়িত্বজ্ঞানহীন: নোয়াব

জবাবে মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে, সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখানোর যেকোন প্রচেষ্টায় আপত্তি জানাই।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি ভারত সফরকালে নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক হয়। এরপর যৌথ বিবৃতিতে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় অংশীদারিত্বের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও নিয়মভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি উভয় দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এ প্রতিশ্রুতি কি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারে মার্কিন আগ্রহকে প্রতিফলিত করে?

জবাবে মিলার বলেন, আমি সেই নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথা বলতে চাই না, কারণ আমি বিবৃতিটি পড়িনি। এটি নিয়ে এখানে আমার সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা হয়নি। তবে স্পষ্টতই, আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ সমর্থন করি। ওই অঞ্চলে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার এটাই এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়