Apan Desh | আপন দেশ

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানাল ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৭ জুলাই ২০২৪

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানাল ডিবি

ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

এদিকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে আজ বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে যায় বলে নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদের বাবা বলেন, বিকেল ৪টার পর সাদা পোশাকে কয়েকজন এসে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়ে যায়। তবে তারা কোথায় নিয়ে গেছে সেটি জানতে পারেননি। গত কয়েকদিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালের সামনে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। এর আগে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছিলেন এ দুই সমন্বয়ক।  

এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ৪টার দিকে একটি খুদে বার্তায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও তাদের চিকিৎসাধীন ওয়ার্ডের সামনে ডিবি পুলিশের অবস্থান নেয়ার কথা জানান। 

আসিফ মাহমুদের দেয়া ওই বর্তায় বলা হয়, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে (আসিফ), নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পুলিশ। ওয়ার্ডের সামনে ও হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। 

এছাড়া হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

এর আগে আব্দুল হান্নান মাসুদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক টিমের একটি প্রতিনিধি দল উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুক্রবার ৪টা ৫০ মিনিটে বিভিন্ন হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখার জন্য পরিদর্শন করার কথা জানান। এরপর সর্বশেষ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তারা পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি বলেন, আমরা মানসিক ট্রমায় আছি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে বাজে অবস্থায় আছি। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করতে না দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বের হতে হবে। আমরা এখন উত্তরায় আছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে নেয়াসহ সরকারকে চার দফা দাবিতে দুই দিন আগে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এদিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়