ফাইল ছবি
আগামীকাল বুধবার নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত-শিবির। সকারি নির্বাহী আদেশে সংগঠনটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ নিয়ে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার
(৩০ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামীকাল বুধবার সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-নৈরাজ্য এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
জোটের শীর্ষ নেতাদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আর সময় ক্ষেপণ না করে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার মধ্যে দিয়ে এ দেশকে সামনের দিকে যাতে সন্ত্রাসী, জঙ্গি উত্থান না ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নিশ্চয় এক-দুই দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাব।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক বলেন, ১৪ দলের সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জামায়াত শিবিরকে সংগঠনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকার নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে একমত হয়েছেন ১৪ দলের নেতারা। এ সিদ্ধান্ত সরকার বাস্তবায়ন করবে।
গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূচনা বক্তব্য রাখেন। জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলে ধরেন। এ সময় কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহবায়ক ডা. অসীত বরণ রায় দাঁড়িয়ে এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। উপস্থিত ১৪ দল নেতারা এতে সমর্থন করলে হাত তুলে জানানোর আহবান জানান। বৈঠকে উপস্থিত ১৪ দলের সব নেতাই দুই হাত তুলে এর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এর আগে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। তিনি ২০১৩ সালে এ-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আংশিক রায় ও ২০২৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কথাও তুলে ধরেন।
আপন দেশ/এবি/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।