ফাইল ছবি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে। যাতে এটি যথাযথ, মানসম্পন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সব মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ তদন্তে সহায়তা নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, তার দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানীর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সহানুভূতি নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে একটি স্বাধীন তদন্ত হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দূতাবাসের ধীর গতির ভিসা পদ্ধতিতে সদিচ্ছার অভাব নয়, বরং সম্পদের সীমাবদ্ধতাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি ভিসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জার্মানীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সরকার ঘোষিত শোক দিবসে তার শোক ব্যক্ত করেছেন জার্মানি রাষ্ট্রদূত।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।