ছবি : সংগৃহীত
ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ ও সহিংসতার জন্য বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন মার্কিন সিনেটর ও বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান বেন কার্ডিন ও কোরি বুকার। এ ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে একটি আধাসামরিক ইউনিট রয়েছে যার সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইতিমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশে অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবের প্রতিবাদে হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে। অসম কোটা ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি চাকরিতে সরকারের অসম এ কোটা ব্যবস্থা।
বিক্ষোভকারীদের ন্যায্য অভিযোগে সাড়া দেবার পরিবর্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনী নৃশংস বল প্রয়োগ করে শত শত বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে। আরও হাজার হাজারকে গ্রেপ্তার ও আহত করে।
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ ও প্রতিবাদ করার অধিকার গণতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম ভিত্তি। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অবিলম্বে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের অধিকারকে সম্মান এবং তাদের অভিযোগের সমাধান করারও আহ্বান জানাই বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সাহসী ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে যারা তাদের মর্যাদার জন্য সংগ্রাম করছে। সংগ্রাম করছে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য। আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলতে থাকব। এ ধরনের অপব্যবহারের সাথে জড়িতদের জবাবদিহি চাই।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।