ফাইল ছবি
দেশব্যাপী স্থাপিত ২০৬টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫৮ জেলায় সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঢাকার ২৯ থানাসহ দেশের ৪১৭টি থানায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যারা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছেন। জনসাধারণের জান-মাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা দিবে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি দল যথাক্রমে জামালপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলায়নে উদ্যত হওয়া কয়েদিদের বাধা প্রদান এবং কারাগারে রক্ষিত অস্ত্র গোলাবারুদ সুরক্ষিত করে। সে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা প্রতিহত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নোয়াখালী জেলার একটি মন্দিরে দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ প্রতিহত করে সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর আরও জানায়, কক্সবাজারে অবস্থিত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পে নিরাপত্তা দিতে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ পেট্রোল পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর ২৯টি থানাসহ দেশজুড়ে ৪১৭টি থানায় ইতোমধ্যে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। যা পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে ত্বরান্বিত করবে। সে সঙ্গে বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ডাটা সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচার করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপতৎপরতা চলমান রয়েছে। দেশবাসীকে এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হয়ে সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজের বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করতে অনুরোধ করা হলো। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।