Apan Desh | আপন দেশ

সিগন্যালের অপেক্ষায় ইসি আউয়াল কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৩:৩৫, ১৭ আগস্ট ২০২৪

সিগন্যালের অপেক্ষায় ইসি আউয়াল কমিশন

ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পর বেশির ভাগ দপ্তর থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। আবার অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ অবস্থায় মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে পদত্যাগের জন্য ওপর মহলের সিগন্যালের অপেক্ষায় আছেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কমিশনে পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতিও অপসারণের ব্যবস্থা নেবেন সংসদ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। 

যেহেতু সংসদ নেই, তাই পদত্যাগ হতে পারে বিকল্প পথ। ক্ষমতার পালাবদলের মাঝে বিগত সরকারের আমলে সার্চ কমিটি সুপারিশের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যদের কমিশনও অস্বস্তিতে ভুগছেন। কোনো কোনো সদস্য ঠিকমত অফিস করছেন না।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে ৬ ও ৭ আগস্ট সিইসি অফিস করেননি। ৮ আগস্ট কয়েক ঘণ্টা অফিস করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ৭ আগস্ট থেকে নিয়মিত অফিস করছেন। তবে অন্য কমিশনাররা ওইদিন থেকে অফিস করা শুরু করলেও সবাই প্রতিদিন আসছেন না। 

এ অবস্থায় গত ১২ আগস্ট জরুরি বৈঠকে বসেন সিইসি। ওইদিন চার নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখার। কমিশন কোনো অবস্থানে যেন হেনস্তার শিকার না হয়, সে বিষয়টিকেই তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

বর্তমানে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা অফিস করছেন। তবে অন্য নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অফিস নির্বাচন ভবনে আসছেন না। 

নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আগে সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল আইন সচিব, মো. আলমগীর শিক্ষা সচিব ও ইসি সচিব এবং মো.আনিছুর রহমান ধর্ম সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ছিলেন জেলা জজ ও নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ছিলেন সামরিক বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।

বঙ্গভবন থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে পদত্যাগ করবে কমিশন। এক্ষেত্রে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ নীতি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আউয়াল কমিশন।

আপন দেশ/এইউ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়