ছবি: আপন দেশ
ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। কৃষকও ন্যায্যমূল্য পাবে। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও কমবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। এসময় ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘুষ ও চাঁদাবাজি হলো দুর্নীতির মূল উৎস। এটি বন্ধ করতে পারলে সমাজের অন্যায়-অনিয়ম দূরীভূত হবে। সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে। পুলিশের আরেকটি বাণিজ্য রয়েছে তা হলো নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য। সেটিও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কোনো পুলিশ অফিসার এসবের সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, সে অপরাধী। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনমনে যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে। সেটি প্রশমনের দায়িত্বও পুলিশের।
বিদ্যমান জনবল ও লজিস্টিক দিয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।