ছবি: সংগৃহীত
নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি করেছেন থানা বিএনপির সদস্য সচিব মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে হামলা, গুলি ছোড়া ও মারধরের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। এতে মাশরাফির বাবাসহ আওয়ামী লীগের আরও ৯০ জনকে উল্লেখ করে অজ্ঞাত হিসেবে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে এ মামলাটি করা হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মামলার বিবরণে বাদীর দাবি, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সদর উপজেলার নকশী বাজারে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মালিবাগ হয়ে নগরীতে প্রবেশের চেষ্টা করে শেখ রাসেল সেতুর পূর্বপাশে পৌঁছালে মাশরাফি, তার বাবা ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা মিছিলকারী বিএনপিসহ সংগঠনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালায়। অভিযুক্তরা, যাদের অনেকেই লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল এবং বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা নিরীহ বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা করে এবং ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আহত হন। সে সময় আহতদের অনেকেই আসামিদের ভয়ে চিকিৎসা নিতে পারেননি। পরবর্তীতে সরকারের পতনের পর তারা চিকিৎসা নেন। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু, পৌর মেয়র ও সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতুল কুন্ডু, সরদার আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী, আওয়ামী লীগের পৌর সভাপতি মলয় কুন্ডু, জেলা যুবলীগের সভাপতি ভি.পি. মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নড়াইল পৌর কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক, ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নিল সিকদার নীল, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান মামলা প্রমুখ।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।