Apan Desh | আপন দেশ

ত্রাণের  টাকা ব্যাংকে কেন জানিয়েছেন হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১০:২০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ত্রাণের  টাকা ব্যাংকে কেন জানিয়েছেন হাসনাত

ছবি: সংগৃহীত

সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন গণত্রাণের বেশিরভাগ অনুদান পদ্ধতিগতভাবে ব্যাংকগুলিতে রাখা হয়েছে। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

হাসনাত বলেন, তহবিল সংগ্রহের সময় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সব টাকা খরচ না করে বেশিরভাগ অর্থই জমা রাখব। কারণ আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে জানি। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আরও বেশি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যবহার করা হবে। প্রাথমিকভাবে, তাদের মনে অন্যান্য চিন্তা ছিল। যেমন- ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আবাসন নির্মাণ। কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে তারা তা করতে পারেনি। অডিট শেষ হওয়ার পরপরই তহবিলের সমস্ত অর্থ বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে ব্যবহার করা হবে। 

হাসনাত বলেছেন, এক্ষেত্রে, এ অর্থ সরকার গঠিত পুনর্বাসন তহবিলে দান করা হবে। এর ফলে  সুষ্ঠু এবং কার্যকরভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে পারবে বলে আমরা আশা করি। জরুরী ত্রাণের সমস্ত অর্থের হিসাব আমাদের কাছে আছে। প্রাথমিক ত্রাণ কার্যক্রমে খরচের পর তহবিলের বাকি অর্থের বেশিরভাগই জমা রাখা হয়েছে জনতা,সোনালী এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না। কারণ সেগুলো বিশেষভাবে খোলা হয়েছে। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও যুক্ত রয়েছেন। তিনিসহ আরও দুইজনের সম্মিলিত সিগনেচার ছাড়া কেউ টাকা তুলতে পারবে না।

হাসনাত আরও বলেন, আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের একটি অডিট পরিচালনা করছি। আগামী দিনে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। সিএ ফার্মের প্রফেশনাল ব্যক্তিদের দিয়েই নিজ দায়িত্বে এটা আমরা করছি। যাতে পরে কেউ অভিযোগ বা অপবাদ না দেয়। 

হাসনাত বলেন, ত্রাণ তহবিলের কোনো অর্থ বিভিন্ন জেলায় যে সভা-সমাবেশ করছে সেখানে ব্যয় করা হচ্ছে না। কেউ যদি দেখাতে পারে আমরা ত্রাণ তহবিলের কোনো টাকা অন্যকাজে ব্যবহার করছি। তাহলে যা শাস্তি দেয়া হবে, বিনাবাক্যে সেটা মাথা পেতে নেবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করার পর থেকেই সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন, এখনও করছেন।
 
হাসনাত জানান, আমরা কেবল অন্যের সুবিধা গ্রহণ করি। একই সময়ে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের গাড়িতে আমাদের পৌঁছে দিচ্ছেন। অনেকে আবাসন এবং খাবারের ব্যবস্থা করছে। এভাবেই চলছে। তবে এখন যেহেতু এটা নিয়েও কথা উঠছে। সেজন্য আগামীতে কারা কী ধরনের সেবা দিয়ে আমাদের সহায়তা করছেন। সেটার তালিকাও আমরা প্রকাশের কথা ভাবছি।

আপন দেশ/অর্পিতা 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়