ফাইল ছবি
গণঅভূত্থানের শহীদ ইমনের মায়ের মামলা নিচ্ছে না বাড্ডা থানা পুলিশ। উল্টো হত্যাকারীদের পক্ষ নিয়েছেন ওসি সাইফুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়া এ শহীদের মাকে ঘুরতে হচ্ছে কখনো আদালতে, কখনো থানায় আবার কখনো ছাত্রদের কাছে। শেষ পর্যন্ত আদালতের আদেশ নিয়ে থানা পুলিশের কাছে শহীদ ইমনের মা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। কে শুনবে? কার কাছে বিচার চাইলে সন্তান হত্যাকারী গ্রেফতার হবে এমন প্রশ্ন ছেলে হারা মা কুলসুমের।
সারা দেশে যখন ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন, তখন বাড্ডার রাস্তায় নেমেছিল কুলসুমের ছেলে ইমন। গত ২০ জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন ইমন। সেদিনই মারা যায়। ৫ আগস্ট হাসিনা পালানোর পর ইমনের মাকে শান্তনা দিতে তার বাসায় গিয়েছিল ছাত্র, রাজনৈতিক দলের নেতারা। সন্তান হারানোর দিন যতো যাচ্ছে কুলসুম যেন অন্ধকার দেখছেন। ছেলে হত্যার বিচারের কোনো আস্থার জায়গা পাচ্ছেন না।
ইমন হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বাড্ডা থানায় যান কুলসুম। মামলা নেয়নি দায়িত্বরত পুলিশ। বলা হয়েছে মামলার নিতে আদালতের নির্দেশনা লাগবে। কথামতোই কাজ করেছেন তিনি। আদালত থেকে মামলার নির্দেশনা আনেন কুলসুম। নির্দেশনার কাগজ হাতে নিয়ে বাড্ড থানায় হাজির হয়েছিলেন। নতুন শর্ত দেয়া কুলসুমকে। থানা থেকে বলা হয় মামলার আসামিদের নাম পরিবর্তনের জন্য। আসামিদের নাম পরিবর্তন না করলে মামলা নেয়া হবে না।
মামলা করতে না পারার ঘটনাটি সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনকারী স্থানীয় সমন্বয়কদের জানায় কুলসুম। এ অন্যায়ের প্রতিবাদের আশ্বাস দিয়েছেন ছাত্ররা।
কুলসুম জানায়, আদালতের নির্দেশনা নিয়ে থানায় মামলা করতে যান আরও তিন শহীদ পরিবার।
মামলা না নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। স্বৈরাচার আমলে ভাটারা ,গুলশানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দায়িত্বে থাকা ওসি সাইফুলের দাবি কেউ মামলা করতে আসেনি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।