ফাইল ছবি
নির্বাচনের ফল বাতিলের অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন। অবশেষে তাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালত। শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হলেও এখনই চেয়ারে বসতে পারবেন না। কারণ, নির্বাচন কমিশন (ইসি) না থাকায় গেজেট নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এখন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় রয়েছে। আপিলের সময় পর্যন্ত ইসি গেজেট প্রকাশ করতে পারেন না। কেননা, আপিলের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে বিবাদী পক্ষ বা সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ যদি আপিল করে তাহলে আপিল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
অন্যদিকে কোনো ভোটের গেজেট প্রকাশ করতে হলে ফুল কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বিগত কমিশন পদত্যাগ করায় সে অনুমোদন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই নতুন কমিশন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কেউ আপিল না করলেও গেজেট প্রকাশ করা যাবে না।
আরও পড়ুন>>>বিএনপির শাহাদাতকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা
এ প্রসঙ্গে ইসির আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফারুক আহমেদ বলেন, এখন তো কমিশন নেই। কাজেই এখন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে পর্যালোচনা করে নিতে হবে। আবার কমিশন না থাকলেও যে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। আদালত যদি আমাদের কাছে মতামত চায়, সেক্ষেত্রে আমরা বলব যে গেজেট প্রকাশ করতে হলে কমিশনের অনুমোদন লাগে। এ ছাড়া, যেহেতু রায় হয়েছে আমরা মতামত না চাইলেও মতামত দিতে পারি। উপদেষ্টা পরিষদের কাছেও করণীয় জানতে চাইতে পারি।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশ যতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য ততটুকু বাস্তবায়ন করব। যেটা বাস্তবায়নযোগ্য না সেটা বাস্তবায়ন হবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের কাছে রায়ের কপি আসলে আমরা দেখব। কমিশন নেই। এখন কমিশন হওয়ার আগ পর্যন্ত হয়ত আমরা উপদেষ্টা পরিষদে যেতে পারি। আর তারা তো আইন পরিবর্তন করতে পারবে না। সংসদে পাশ করা আইনে যে বিধান আছে, সেটা তারা পরিবর্তন করতে পারবে না। যেহেতু স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার ভেঙে দিয়েছে এবং সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে; এতে মনে হচ্ছে বিষয়টি ইনফ্রাকচুয়াস (অকেজো)। বেশি একটা কাজে আসবে বলে মনে হয় না। কারণ, কমিশন থাকা অবস্থায়ও যদি এই আদেশ হতো, তাহলে কী হতো, ওই বাতিলের খাতায় তো পড়ে যেত। এখন ওই পরিষদগুলোই তো বাতিল।
তিনি আরও বলেন, সরকারের আদেশে যেহেতু বাতিল হয়েছে তাই এ বিষয়টা অনেকে ইনফ্রাকচুয়াস। বড় কথা হলো গেজেট করতে হলে কমিশন লাগে। এখন কমিশন নেই। কমিশনের অনুমোদনের পরিবর্তে বিকল্প কী আছে, সেটা আমাদের পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।