আপন দেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন সাজ্জাদ হোসেন অনিক। তিনি পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গুলিবিদ্ধ হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন অনিক। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিছানায় দিন কাটছে তার। গুলিবিদ্ধ চোখ স্বাভাবিক না হওয়ার আশঙ্কা করছে তার পরিবার।
সাজ্জাদ হোসেন অনিক জানান, পাবনার জিয়া কর্নারের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম আমরা। এ সময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে একটি বুলেট আমার চোখে লাগে। এরপরে আমি ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দিনেই ডাক্তার জানান গুলি বের করতে অপসারণ করতে হবে। তবে এ অপারেশন পাবনায় সম্ভব নয়। এজন্য ৫ আগস্ট আমাকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
গুলিবিদ্ধ অনিক জানান, ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিলে ডাক্তাররা কোনো চিকিৎসা না দিয়েই বারান্দায় ফেলে রাখেন। সেখানের চিকিৎসকরা বলেছেন তার চোখের অপরসন দেশে সম্ভব নয়, বিদেশে যেতে হবে। এখনই ট্রিটমেন্ট না হলে চোখ হারাতে পারেন।
অনিকের বাবা বলেন, আমার স্বপ্ন, সন্তানকে লেখা পড়া শিখিয়ে দেশের কাজে নিয়োজিত করবো। কিন্তু দেশ বাঁচাতে যেয়ে চোখ হারাতে বসেছে আমার ছেলে। আহত ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ছুটছি। চিকিৎসারা বলছেন দেশের বাহিরে নিতে। এখন সংসার চালানোই কঠিন, ছেলের চিকিৎসা করব কীভাবে? যদি সমাজের বিত্তশালী বা সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য পাই তাহলে আমার ছেলের চিকিৎসা করানো যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকার, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও দেশবাসীর কাছে অনিকের চিকিৎসায় সহায়তার আহবান জানিয়েছেন তার পরিবার।
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।