ফাইল ছবি
বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল। এ তদন্ত কতটা কার্যকর হবে। আন্দোলনের হতাহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কতটা সহায়তা করবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনটি দ্রুত সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। এ সময়ে পুলিশ বাহিনীর গুলিতে বহু শিক্ষার্থী নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস (ওএইচসিএইচআর) এক প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী এ সময়ে ‘অপ্রয়োজনীয় এবং অসম বল প্রয়োগ’ করেছে। এ তদন্তটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরছে।
মানবাধিকার কর্মী সারা হোসেন জানান, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তবে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান সতর্ক করে বলেন, তদন্তের সীমাবদ্ধতার কারণে পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া কঠিন হবে।
জাতিসংঘের দলটি নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে, তবে তারা অপরাধ বিষয়ক তদন্ত করছে না। সারা হোসেন এবং কুগেলম্যান উভয়েই উল্লেখ করেছেন, তদন্তের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুরো পরিসর তুলে ধরা সম্ভব নাও হতে পারে।
নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা জাতিসংঘের দলের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তবে তারা তদন্তের ফলাফলে খুব বেশি আশাবাদী নন। কারণ এটি শুধুমাত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতে সীমাবদ্ধ।
পরিবারগুলোর দাবি, নির্দিষ্ট সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হোক। তারা জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, জাতিসংঘের এ তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসা বিষয়গুলোর উপর একটি মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ওএইচসিএইচআর, যেখানে কিছু পরামর্শও থাকবে।
সূত্র: ডয়েচ ভেলে
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।