বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ: ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির দুই নেতার বক্তব্যে প্রশ্ন তুললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ প্রশ্ন তোলেন।
পোস্টে বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু ও সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য তুলে ধরে হাসনাত বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে বিএনপির দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নিচের কোন বক্তব্যকে আমরা বিএনপির বক্তব্য হিসেবে ধরব?
শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে বিদায় না করলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না বিএনপি। এ দুই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে হাসনাত রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির দ্বিধা প্রকাশ করেন।
হাসনাত আরও একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এ সংবিধান বাতিল করতে হবে। ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের জনগণের অংশগ্রহণকে অস্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগীকরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব কোনও সুনির্দিষ্ট দলের সম্পত্তি নয়। এটি জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সংবিধানে রূপান্তরিত করতে হবে। এজন্য তিনি ৭২-এর একদলীয় সংবিধান বাতিল করে একটি জনগণপন্থী সংবিধান রচনার দাবি জানান।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকালের পাঁচ দফার প্রথম দফা হলো ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে জনগণপন্থী সংবিধান লিখতে হবে। আমাদের ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে চূড়ান্ত বিপ্লবে পরিণত করতে হলে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। পাঁচ দফা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রকামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তির লড়াই অব্যাহত থাকবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।