আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা আবুল কালাম আযাদ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা আবুল কালাম আযাদ। তিনি বাচ্চু রাজাকার নামে পরিচিত। দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন আবুল কালাম। তিনি ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিই ছিল প্রথম রায়।
এতদিন মাওলানা আবুল কালাম আযাদ নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন। সবাই মনে করেছিল মারা গেছেন বা মেরে ফেলা হয়েছে। অবশেষে তিনি প্রকাশ্যে আসলেন।
সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক কনক সারোয়ারের ইউটিউব সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, তাকে মামলায় জড়ানোর পিছনে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনিই সবকিছু করেছেন। আমি ইসলামিক প্রোগাম করার কারণে আমার ওপর শাহরিয়ার কবির ও ইনু রাগান্বিত ছিলেন। আমার বিরুদ্ধ সকল অভিযোগই মিথ্যা ছিল।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়েছিল, ‘বাচ্চু রাজাকার’ এর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মোট আটটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তার মধ্যে সাতটিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তিনটিতে ‘বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড, ৪টিতে কারাদণ্ড দেয়ার সুযোগ থাকলেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কারণে সে সব অপরাধের বিষয়ে দণ্ডাদেশ দেয়নি ট্রাইব্যুনাল। অপর একটি অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় সেটি খারিজ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে ১৪ জনকে হত্যা, তিন নারীকে ধর্ষণ, নয়জনকে অপহরণ, ১০ জনকে আটক রাখা, পাঁচ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ১৫টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।