বাংলাদেশ পুলিশ। ফাইল ছবি
পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি পাচ্ছে ৩ হাজার ৫৭৪ জন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক। স্বৈরাচার শেখ সরকারের শেষের দিকে দলীয় পরিচয়ে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা এখন চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত জুনে দলীয় বিবেচনায় চূড়ান্ত হওয়া এসব টিআরসি (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) বর্তমানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টরে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশিক্ষণরত। সেন্টারগুলো হলো- নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা, পিএসটিএস রাঙামাটি এবং পুলিশ অ্যাকাডেমি সারদায়।
গত মার্চ ও এপ্রিলে সারা দেশে ৬৪ জেলায় চার পর্বে মৌখিক পরীক্ষার আগের দিন তাদের বাছাই করা হয়। এর বাইরে বিএনপি- জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের নানা কৌশলে বাদ দেয়া হয়।
তৎকালীন আইজিপি এবং রিক্রুটমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শাখা থেকে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের সময়ে বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় পরিচয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও তার সহযোগীরা গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ পুলিশে লক্ষাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োগের কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে। এভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি দলীয় বাহিনীতে পরিণত করার কাজ সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ।
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবল ও সাব-ইনস্পেক্টরদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিআইজি হিসেবে অবসরে গেছেন। আবার অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।
আপন দেশ/কেএইচ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।