খালেদ মুহিউদ্দীন।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। এ সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামক একটি টকশোতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খালেদ মুহিউদ্দীনকে তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো। ছেন, এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া মানে আমাদের দুই হাজার শহিদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা।
এদিকে সারজিস আলমও একইভাবে মন্তব্য করে ফেসবুকে লিখেছেন, খালেদ মুহিউদ্দীন ভাইয়ের পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহিদের সঙ্গে বেঈমানি। অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।
এর আগে, ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ফেসবুক পেইজ থেকে জানানো হয়েছিল, ৭ নভেম্বর রাতে সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি হিসেবে হাজির করা হবে। সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং তার সংগঠনকে সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ এর ফেসবুক পেইজ থেকে ঘোষণা করা হয় ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।
ওই পোস্টের নিচে খান আশরাফ নামের একজন কমেন্ট করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত একটা দলের প্রধানকে মিডিয়ায় আনা মানে তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেয়া। খালেদ মুহিউদ্দীন সে কাজটাই করতে চলেছেন। এরকম হলে হিজবুত তাহরিরের সভাপতিকেও দাওয়াত দেন।
আল মামুন রাসেল লিখেছেন, আমাদের আইন অনুযায়ী এটি আপনি করতে পারেন না। এটি করলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় আপনিও অপরাধী হবেন। আশা করি এহেন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মনোয়ার আলম নির্ঝর এক্সে (টুইটার) লিখেছেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান দায়মুক্তি প্রদানকারী অনুষ্ঠান হতে পারে। খালেদ মুহিউদ্দীন হয়তো এটি একে অপরাধমুক্ত করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এ প্রজ্ঞাপনে সরকার জানিয়েছে, পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ সশস্ত্র আক্রমণ ও অসংখ্য নিরপরাধ শিক্ষার্থী হত্যা করে। ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।