Apan Desh | আপন দেশ

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে রিজভীর বক্তব্যে জেন-জিতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১২ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৭:৩৮, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে রিজভীর বক্তব্যে জেন-জিতে আগুন

ফাইল ছবি

মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন লিখেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি ততদিন পর্যন্ত যতদিন সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হবে না। মুসলিম আইডেন্টিটিকে সন্মান করা হবে। তোমাদের হাতে অনেক সময় আছে। নীতি এবং আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হলে সফলতা আসবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি বলেছেন, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো ঠিক হয়নি। জাতীয় জীবনে যে ব্যক্তি যেমন অবদান রেখেছেন, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো অনুচিত। 

রিজভীর এ মন্তব্যের পর জেন-জি তরুণদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, রাজনীতিবিদেরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন>>>বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুরের ছবি সরানো ঠিক হয়নি: রিজভী

তার এ পোস্টে মন্তব্য করেছেন রায়হান আহমেদ তামিম। তিনি লেখেছেন, কয়দিন পর মির্জা ফখরুল বলবে হাসিনাকে টেনে নামানো ঠিক হয়নি। পলাতক ফ্যাসিস্ট সরকারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা দাঁতভাঙা জবাব দিবে। মুজিববাদ নিপাত যাক। 

কল এন্টারটেইনমেন্ট নামে এক ব্যক্তি পোস্টে লিখেছেন, আমার ভাইয়ের লাশ এখনো পচেনি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমার ভাইয়ের চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। আর ছাত্রদের আবেগ পুঁজি করে কিছু মানুষ কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার পাঁয়তারা করছে।

মুহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ ফারাবী লিখেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে রাজনীতিবিদেরা অস্ত্র দেয়। ধনীরা দেয় রুটি। গরিবেরা তাদের ছেলেদের দেয়। যুদ্ধ শেষ হলে রাজনীতিবিদেরা হাত মেলায়। ধনীরা রুটির দাম বাড়ায়। কিন্তু গরিবেরা তাদের ছেলেদের কবর খুঁজে।

তারেক হোসেন লিখেছেন, কারো বাপের দেশ। কারোও আবার স্বামীর দেশ। এসব দল যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। এটা গণতন্ত্রের দেশ। এখানে নিম্ন শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষ সরকার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।

মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন লিখেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি যতদিন পর্যন্ত সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে টানাহেঁচড়া হবে না। মুসলিম আইডেন্টিটিকে সম্মান করতে হবে। তোমাদের হাতে সময় আছে। যদি নীতি এবং আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হও তাহলে সফলতা আসবেই।

তরুণরা তাদের এ মতামত সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করে। 

এদিকে সকালে বক্তব্য দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বক্তব্যের সংশোধনী দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএনপি। বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বলেন, আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে। সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত: ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়