জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত কাজলকে দেখতে যান তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
ছাত্র জনতার বিপ্লবে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। এ জন্য মুল্য দিতে হয়েছে চরম। প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে দেড় সহস্রাধিক ছাত্র জনতা। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার। তাদেরই একজন কাজল। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য কাজলকে থাইল্যান্ড নেয়া হচ্ছে।
গত তিন মাস ধরে রাজধানীল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই বিপ্লবীকে দেখতে যান তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক জানান তাকে থাইল্যান্ডে নেয়ার কথা।
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, জুলাইয়ের গণবিপ্লবে যাত্রাবাড়িতে আবু সাঈদের মতো দু'হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিলেন কাজল। পুলিশের গুলিতে মাথায় আহত হন তিনি। এর পর ভর্তি হন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। গত তিন মাস ধরে সেখানেই আছেন কাজল।
এ চিকিৎসক জানান, ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু গত দুদিন আগে হঠাৎ ইনফেকশন হয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। এতে রক্তচাপ কমে শকে চলে যান তিনি। পরে নিন্সে বোর্ড করে চিকিৎসা দেয়া হতে থাকে। আজকে সকাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে আজও বোর্ড মিটিং বসে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাজলের সবশেষ অবস্থা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে জানানো হলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিন্সে পাঠান। নাহিদ এসে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তাকে দ্রুত থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
তথ্য উপদেষ্টা তার ভিসা ও খরচের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেন। দুই মন্ত্রণালয় থেকেই সবুজ সংকেত পান তিনি। পরে সিদ্ধান্ত হয় কাজলকে এয়ার এম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেয়া হবে।
এর আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে গণবিপ্লবে আহত মুসাকে এয়ার এম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সঙ্গে সঙ্গে সিএমএইচে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি এয়ার এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, ভিসা না থাকায় কাজলকে শনিবার থাইল্যান্ড নেয়া সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়। আশা করা হচ্ছে রোববার ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা পাওয়ার পরই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এয়ার এম্বুলেন্সে রওনা দিবে কাজল।
এদিকে কাজলকে দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যের সহকারী উপদেষ্টা অধ্যাপক সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক আবু জাফর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ডা. আহাদ।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।