রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভে পুলিশি অ্যাকশন। ছবি-আপন দেশ
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ। আদালতের এমন নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভে নেমেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা।
এতে ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা লিংকের ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। একই সঙ্গে এখন পর্যন্ত তিনটি ট্রেন আন্দোলনের কারনে মাঝ পথে আটকে আছে বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কন্ট্রোলরুম।
কন্ট্রোলরুমে ডিউটিরত কর্মকর্তা জানান, জুরাইন রেলগেটে অটোরিকশা চালকরা আন্দোলন করছে। এর ফলে রেললাইন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কন্ট্রোলরুম থেকে আরও জানানো হয়, ঢাকায় নকশীকাঁথা নামের একটি ট্রেন বসে আছে। শ্যামপুরে বসে আছে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ৫ এবং মাওয়াতে বসে আছে আন্তঃনগর মধুমতী। ঢাকার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা লিংকের ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। বাকিগুলো সব ঠিকঠাক আছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রথম দিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। এতে বন্ধ হয় যান চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই নির্দেশনার পর পরের দিন বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়। রিকশাচালকরা ওইদিন কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন করেন। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।