তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
এখনই নিষিদ্ধ না হলেও আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাহিদ ইসলাম। একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষঅৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জুলাইয়ে সংগঠিত ছাত্র জনতার বিপ্লবের অন্যতম নায়ক নাহিদ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, গণমাধ্যম সংস্কারে গঠিত কমিশন এমন আইন করবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ গণমাধ্যমে খবরদারি চালাতে না পারে।
ছাত্র জনতার আন্দোলন ঠেকাতে গণহত্যা চালিয়েছে তৎকালীন সরকার। এ অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে নানা মহল থেকে। এ বিষয়ে সরকার কি ভাবছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষ মেরে, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের কেবল বিচারের কাঠগড়াতেই উঠতে হবে না, ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে। বিচার প্রক্রিয়ার আগে তাদের মাঠে থাকার অধিকার নেই, সুযোগও নেই।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনো দলের কাছে নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ। তাই বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের জন্য যতোই চাপ দিক, সংস্কার কমিশনের কাজের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনের দিকে এগোবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অন্তরায় যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নিরাপত্তা আরও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি রূপরেখা করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে এদেশে মানুষ গণমাধ্যম চর্চা করতে পারে।
গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে পেরেশান হতে হচ্ছে, একের পর এক দাবি আদায়ের আন্দোলন সামলাতে। এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম মনে করেন, কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সবগুলো নয়। এসব দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।