ছবি সংগৃহীত
সরাসরি ভোটের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করার সুপারিশ পাওয়ার পর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, বিষয়টি তাদের বিবেচনায় রয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টি উঠে আসে।
সভার পর নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভায় অংশগ্রহণকারীরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিতে এবং রাষ্ট্রপতি কোনো দলের সদস্য হতে পারবে না বলে সুপারিশ করেছেন।
কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি থাকবে কি না জানতে চাইলে কমিশন প্রধান বলেন, আমরা এগুলো বিবেচনায় নেব। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আমরা সব সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে ভেবেচিন্তে প্রস্তাব করব।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আড়াই মাস পর তিনি পদত্যাগ করেছেন কি না, সে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েন তার আমলে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়া মো. সাহাবুদ্দিন। একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এমন কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মাঠে নামে।
শনিবারের মতবিনিময়ে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করা, হলফনামা যাচাই-বাছাই করা, কত শতাংশ ভোট পেলে নির্বাচিত হবে, ‘না’ ভোট ফিরিয়ে আনা, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া যাবে না, কারচুপি, অনিয়ম এবং ভুয়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কার, গণমাধ্যমের মালিকানার সঙ্গে যুক্তরা নির্বাচন করতে পারবে না, ব্যবসায়িক সংগঠনে নির্বাচিত প্রতিনিধি রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়।
বদিউল আলমের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সংস্কার কমিশনের সদস্য স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে পারে তবে তা নির্বাচনি পদ্ধতি সংস্কারের পর। তা নাহলে নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার আর কখনো নাও হতে পারে। দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের সমষ্টি। এই কমিশনের কাজ হবে একটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দাঁড় করিয়ে দেয়া। একটা শিডিউল দিয়ে সব নির্বাচন হবে এমন আইন চালুর চেষ্টা করছি। তাহলে খরচ কমবে।
মতবিনিময়ে অংশ নেয়া নেক্সাস টেলিভিশনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর আমীন আল রশিদ বলেন, কমিশন আইন ত্রুটিপূর্ণ আইন। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন হালনাগাদের পর যদি কমিশন গঠন করা হতো তাহলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হত।
গত বৃহম্পতিবারই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথ পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সাবেক ৩ সিইসিকে ডাকলে আসবেন? বদিউল বললেন, মনে হয় না। আওয়ামী লীগের মত নেবেন না? বদিউলের জবাব, সরকারের অভিপ্রায় গুরুত্ব।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।